সহজে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

সহজে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। জীবনযাত্রার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার অভাব এই রোগের মূল কারণ। আমাদের অজান্তেই ডায়াবেটিস কারণে কিডনি, হার্ট, চোখ, লিভারের মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং বিশ্বে প্রতি বছর ডায়াবেটিসের কারণে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় । যে কোন ব্যক্তি এই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

ডায়াবেটিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে

যেসব সবজি মাটির ওপরে ফলে সেগুলো ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য অনেকটা নিরাপদ। এর মধ্যে আছে সবুজ শাক-সবজি যেমন: বাঁধাকপি, পালং শাক। এ ছাড়া মটরশুঁটি, বেগুন, মরিচ, মাশরুম, পেঁয়াজ, ছোলা, মসুর ডাল, টম্যাটো, শসা, কচুর লতি, ঢেঁড়স ইত্যাদি খেতে পারেন। এ ছাড়াও ফুলকপি, কাঁচা টম্যাটো, শসা, কাঁচা পেঁপে, খিরা, করলা, ঝিঙা, চিচিঙা, পটোল,চালকুমড়া, ডাঁটা, লাউ, সজনে, মাশরুমও খাওয়া যাবে।

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

প্রতি দিন সকালে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটুন ও ব্যায়াম করুন। সকাল ৯ থেকে ১০ টার মধ্যে একটি ডিম ও রুটি খাবেন বা সবজি রান্না করে খবেন। দুপুরের খাবারে আপনি সামান্য পরিমাণে ভাত ও সবুজ সবজি খাবেন বেশি করে। রাতের খাবারে একটি রুটি ও সবজি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে পারেন। সর্বদা চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন। আপনি গ্রিন চা খেতে পারবেন। এছাড়াও আপনার যদি অতিরিক্ত খুদা লাগে তখন আপনি কাঁচা পেঁপে, পেয়ারা, খাজুর এ জাতীয় ফল খেতে পারবেন

ডায়াবেটিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না

লবণ, চিনি ও চর্বিজাতীয় খাবারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ যতটুকু না খেলেই নয় ততটুকুই খাওয়া। 
১. কখনও বেশি পরিমাণে খাওয়া খাবেন না।
২. যেসব খাদ্য বা কোমল পানিতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে সেসব বর্জন করতে হবে।
৩. দুধ জাতীয় খাবার খেতে হলে ফ্যাট কমিয়ে খেতে হবে।
৪. বেশি ভাজা পোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
৫. সম্পূর্ণভাবে বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং সয়াবিন তেল পরিহার করুন।

আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তাহলে এগুলো অবশ্যই পালনীয়। আর যারা ভালো আছেন তারা যদি এসব নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে পারবেন। আমরা সর্বদা পরামর্শ দিবো একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে দেখিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। 
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post